
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমিতে অস্থায়ী মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, অস্থায়ী মণ্ডপটি সব আইনি প্রক্রিয়া মেনেই অপসারণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজার সময় কিছু ব্যক্তি পূর্বানুমতি ছাড়াই খিলক্ষেতে রেলের জমিতে একটি পূজা মণ্ডপ নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে পূজা শেষে মণ্ডপটি সরিয়ে নেওয়ার শর্তে পূজা অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়।’
উপদেষ্টা আরো জানান, আয়োজকরা পূজা শেষে মণ্ডপ সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পূজা শেষ হলে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা মণ্ডপটি সরিয়ে নেননি। বরং সেখানে স্থায়ী মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তাদের এমন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও কর্ণপাত করেননি।
তিনি বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত এলাকায় রেলের জমি থেকে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলা হয়।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে প্রায় শতাধিক দোকানপাট, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়, কাঁচাবাজার এবং সবশেষে অস্থায়ী মন্দিরটি সরানো হয়েছে। অস্থায়ী মন্দিরের প্রতিমা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তি ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : বাসস।
টিএইচ