
সংকট কাটছে না ঢাকা মেডিকেল কলেজের। এবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যক্ষের সাথে আলোচনার পর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল জানায়, আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে এতেও সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা।
ঝুঁকি নিয়ে জরাজীর্ণ হলের কক্ষেই থাকছেন আগামী দিনের চিকিৎসকরা। নিরাপদ আবাসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে বন্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
মঙ্গলবার কলেজ ক্যাম্পাসে এক ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের মুখে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ভবনে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষ অধিকাংশ দাবি মেনে নিলেও আবাসনের সুযোগ বঞ্চিত নবাগত ৮২ তম ব্যাচ।
ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী মাহবুব মোর্শেদ বিন জাহিদ বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নতুন কিছু অ্যালটমেন্ট এসেছে। আমরা সে অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো থেকে নিরাপদ স্থানে মুভ করা শুরু করেছি। এরপরে যেটা দেখা গেছে যে, নতুন হলের বিষয়ে তারা আমাদেরকে যে আপডেটটা দিয়েছেন সেটা হলো যে মেডিকেল কলেজগুলো আছে, সবগুলো মিলে ১৯টা মেডিকেল হল করার প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দাবি, সিট বরাদ্দ না হওয়ায় আটকে আছে ২৬০ জনের ওরিয়েন্টেশন প্রক্রিয়া। তাই আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা তাদের।
আরেক শিক্ষার্থী আলফাজ হোসাইন সিহাব বলেন, ‘নিরাপদ আবাসনের জন্য আমাদের প্রশাসন, আমাদের মন্ত্রণালয় এবং আমরা একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচ সম্পর্কে কোনো পরিকল্পনা আমাদের এখনও জানানো হয়নি। তারা বলেছে, আমাদের জানাবে পরিকল্পনা খুব শিগগির। যতদিন পর্যন্ত না জানাচ্ছে বা যতদিন আমরা কোনো পরিকল্পনা না পাচ্ছি ততদিন আমরা ক্লাসে ফিরছি না, এটাই আজকে আমাদের সিদ্ধান্ত।’
শিক্ষার্থী-প্রশাসন টানাপোড়েনে গত শনিবার থেকে স্থবির দেশের প্রধান মেডিকেল কলেজটির শিক্ষা ব্যবস্থা। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজার কথা বলছে কলেজ প্রশাসন।
টিএইচ