
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় আজ সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে প্রথম বৈঠকে বসছে এই সংক্রান্ত গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
এদিন সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, আমরা আজ বিকেল ৪টায় মিটিংয়ে বসছি। সেখানে তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করবো। আমরা সুপারিশগুলো উপদেষ্টা পরিষদে তুলবো। আমি বলবো, সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে। আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনা ও আন্দোলনরত সংগঠনসমূহের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সুপারিশ দিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে গত ৪ জুন একটি কমিটি গঠন করে সরকার।
বুধবার (৪ জুন) এই কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদকে সদস্য করা হয়েছে।
গঠিত কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।
কমিটি প্রয়োজনে এক বা একাধিক সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। আর ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে বলে অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই তা প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। গত কয়েক দিনে মোট সাতজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
টিএইচ