
পবিত্র ঈদুল আজহার প্রথম দিনে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটাকাটি করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ২ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী শিশুসহ চারজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৭ জুন) সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে আমিন হোসেন (৬০) ও আনারুলকে (৫৬) ১০১ নং ওয়ার্ডে এবং জমিলা বেগম (২৮) নামে ২০৩ নং ওয়ার্ডে ও আড়াই বছরের খাদিজাকে ২০৪ ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন- আলমগীর (৫০), চান মিয়া (৪০), হাসান (৩০), মো. কাশেম
(৩৫), মো. আক্কাস (৩৫), আবুল শেখ (৫৫), আউয়াল (৫০), আসাদ (৩৫), ইকবাল (৪৪), আবুল হাশেম (৫৮), শাহাদাত (২৫), কামাল হোসেন (৬০), রাতুল (২৫), জমিলা বেগম (৪০), জহির রায়হান (৩০), আব্দুর রহিম (২৮), জব্বার (২২), আলমগীর (৩২), জামাল আব্দুল্লাহ (৫১), জাকির মিয়া (২৬), ইমন (২২), শামীম (৩২), জিহাদ (২৪), সোলেমান (৪০), শামসুন্নাহার বেগম (৪০), আয়েশা আক্তার লুবনা (২০), মাজহারুল ইসলাম (৪০), ইয়াসিন আলী (৩০), সৌরভ (৩৩), ওয়াদুদ (২৭), নারায়ণগঞ্জ থেকে আবুল কাশেম (৩০), নজরুল ইসলাম (৪২), আখতার হোসেন (৩২), অনিকা বেগম (৩৪), হেনা আক্তার (০৪), নুরজামাল (২৮), আলামিন (৩৫), দ্বীন মোহাম্মদ (৩২), আলমগীর (৫৫), জীবন (২৮), বিপ্লব (৪০), মনির হোসেন (৫০), আল আমিন (৩২), জাকির মিয়া (৩৫), ওহিদ মিয়া (৫০), সজল (৩২), মোকসেদ মিয়া (৬২), ইমান আলী (৪২), মিজান মিয়া (৫০), জালাল উদ্দিন (৫০), পলাশ (৩১), রাজু (৩০), আমিন (৬৮), জনি (৩০), ওমর ফারুক (২৫), জাকির শেখ (৬০), শেখ মাহমুদ (৬০), আমির হোসেন (২৮), রানা (২৩), আব্বাস মিয়া (০৭), মো. সবুজ (২৪), সাইফুল ইসলাম (৩৭), মোহাম্মদ শাহিন (৩৫), ফরহাদ (৪৩), মিন্টু মিয়া (৪২), মোহাম্মদ সানি (২৯), হিরো মোল্লা (৪৫), শহিদুল (৫২), রুবেল (২৮), শাকিব (২৫), রনি মিয়া (৩০), ফারুক মিয়া (৪৭), রেহানা পারভীন (৩০), আনসার উদ্দিন (৫০), ইসমাইল মিয়া (২৫),মুন্সীগঞ্জ থেকে সাইফুল ইসলাম (৪০), এনামুল হক (২৫)। রবিউল (২৮), শফিউল (২৭), ইয়াসমিন আলী (৩০), মানিক (২৪), মঞ্জু (৪২), রাজিব (২৪), রতন (৩৩), শান্ত (২৫), ওহিদুল (৫০), আলমগীর (৫০), তাজুল হাওলাদার(৬০), জুয়েল (৩২) ,আনসার (৫০), সাজিন(২৫), আব্দুল নুর (৩০), সোহরাব (৪০), আরিফ (৪০), ইসলাম (২২), শুকরি বেগম (৮০), মামুন (৩১), হিমেল (৪৫), রাজিব (৩৫), আব্দুল করিম(৫৬), শাহরিয়ার (২৮), তরিকুল (৩৩), সুজন (২১), কাউসার মোল্লা (৩০), আলাউদ্দিন (৫০), বকুল (৫৩), গৌরব (২৪), ফালান মিয়া (২৮), সালাউদ্দিন মিয়া (২৭), সেলিম মিয়া (২৭), দুলাল মিয়া (৪৫), আনু ভুঁইয়া (৩৫), মানিক বক্স (৬০), টিপলু মিয়া (৩০), শুভ মিয়া (২৭)।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, কোরবানির সময় অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকে আহত হচ্ছেন। ছুটছেন হাসপাতালে। বাড়ির সামনের রাস্তায়, গাড়ির গ্যারেজ এবং কেউ কেউ খোলা মাঠে কোরবানি দিচ্ছেন। পশু কোরবানির সময় গরুর শিংয়ের গুতো, গরুর লাথি, মৌসুমি কসাইদের অপরিপক্ক ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার এসব দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এতে অনেকেরই আঙুলের হাত কেটে গেছে, কারও আবার হাতের রগ কেটে গেছে, কারো পায়ের রগ কেটে গেছে, মাংস কাটতে গিয়ে হাড় ছুটে চোখে লেগেছে।
জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে আহত অবস্থায় ২০০ জনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৪ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক ফারুক বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশু কোরবানি দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতসহ গরুর শিংয়ের গুতা ও গরুর লাথির আঘাতে শিশু ও নারীসহ মোট ২০০ জনকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৪ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
টিএইচ