
সামগ্রিক দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের জন্য সব দলকে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে এই বিষয় নির্বাচন কমিশনকেও কঠোর হতে হবে। কারণ নির্বাচনের সময় কিন্তু অর্থ এবং পেশিশক্তির একটা অপব্যবহার হয়ে থাকে। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন কঠোর আইন তৈরি করলে এবং সেই আইনগুলো যথাযথ প্রয়োগ করলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে অবস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহির বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি নিশ্চিত করতে চায়। আমাদের নীতিগত জায়গা হচ্ছে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। কিন্তু আমরা যদি সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে চাই তাহলে এটা কোনো একক দলের পক্ষে সম্ভব নয়।
আমরা চাই, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোরও এই আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি আসতে হবে। যদি সবাই আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়ে আসতে পারে তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জনগণের আন্দোলনের মধ্য থেকে গড়ে উঠেছি। যদি জনগণ আমাদের সমর্থন না দেয় তাহলে রাজনৈতিকভাবে বা নৈতিকভাবে বাংলাদেশে আমরা টিকে থাকতে পারব না।
ফলে আমাদের মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে সেই জনগণের সমর্থন নেওয়া। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা জনগণের সেই সমর্থনটাই নিতে চাই।’
কোনো একক ব্যক্তির কাছে অর্থ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সবার কাছে আহ্বান থাকবে যারা আমাদের সমর্থন করতে চান বা আমাদের সহযোগিতা করতে চান কেউ কোনো ব্যক্তিগতভাবে কাউকে টাকা কিংবা সহযোগিতা দেবেন না। আমাদের কেন্দ্রীয় একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আমাদের সবগুলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল অ্যাকাউন্ট পার্টির নামে। তাই কোনো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা কোনো ব্যক্তির কাছে কেউ অর্থ দেবেন না।
জাতীয় নাগরিক পার্টি এই নীতিতে বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনে আমাদের অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, সেটা আমরা জনগণের সামনে উন্মুক্ত করব।’
টিএইচ