
ফাইল ছবি
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে একটি সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী এই দুইটি পৃথক ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংজ্ঞার এই পরিবর্তনে কারও সম্মান বা সুযোগ-সুবিধায় কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, ‘এটি কাউকে খাটো করার উদ্দেশ্যে নয়। মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে যুক্ত সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। ‘সহযোগী’ মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বরং এদের ভূমিকা ভিন্ন হলেও মর্যাদা এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধায় কোনো পার্থক্য রাখা হচ্ছে না।”
সরকার জানিয়েছে, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছিল, মূলত সেটিই পুনর্বহাল করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে সংজ্ঞার যে পরিবর্তন এসেছিল, তা নতুন অধ্যাদেশে সংশোধন করা হয়েছে।
নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি সরাসরি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং যারা যুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা “মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে থাকবেন। অন্যদিকে যারা সহায়তাকারী, দাপ্তরিক কিংবা প্রচারণামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন, তারা “সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে বিবেচিত হবেন।
ইউ