
ছবি সংগৃহীত
মুজিবনগর সরকারের শীর্ষ নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বুধবার (৪ জুন) ‘ফ্যাক্টস’ নামক তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী মো. মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল হয়েছে’ এমন খবর ভিত্তিহীন।
ওই পোস্টে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘মুজিবনগর সরকারে যারা নেতৃত্বে ছিলেন, তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন কিংবা যুদ্ধ পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধা। তবে সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মীসহ কূটনীতিকদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সহযোগী অর্থ এই নয় যে তাদের মর্যাদা কমানো হয়েছে।’
মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নিয়ে চলমান আলোচনার প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা জানান, ‘১৯৭২ সালের সংজ্ঞাই মূল হিসেবে ধরা হয়েছে। যদিও ২০১৮ ও ২০২২ সালে সংজ্ঞায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। তবে মুক্তিযোদ্ধা এবং সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা – উভয়েরই সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা সমান থাকবে।’
ইউ