ঢাকা,

০৫ জুন ২০২৫


দেশে আবারও করোনার হানা, সতর্ক করল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৪:২০, ৩ জুন ২০২৫

দেশে আবারও করোনার হানা, সতর্ক করল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা

সংগৃহীত ছবি

আতঙ্কের সেই দিনগুলোকে পেছনে ফেলতে না ফেলতেই আবারও যেন বাজতে শুরু করেছে বিপদের ঘন্টা। একটা সময় গোটা পৃথিবী স্থবির হয়ে গিয়েছিল এই ভাইরাসের আতঙ্কে। মানুষ হারিয়েছে পরিবার, বন্ধু, প্রিয়জন। সেই ভয় ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছিল মানুষ। জীবন ফিরছিল স্বাভাবিক গতিতে। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই আবারও থাবা বসাল করোনা।

সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশে আবারও শনাক্ত হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক এবং ভবিষ্যতের জন্য বিপদ সংকেত।

এই নতুন সংক্রমণের পেছনে রয়েছে দুটি ভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট। প্রথমটির নাম জেন-ওয়ান। এই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে অস্বাভাবিক উপসর্গ, চোখে জ্বালা ও ত্বকে অস্বস্তি। যা পূর্ববর্তী কোন ভ্যারিয়েন্টে এভাবে দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্টটি ইজেড-ফাইভ নামে পরিচিত। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ভ্যারিয়েন্টটি মহামারি সৃষ্টির মতো ততটা বিপজ্জনক নয়, তবে অগ্রাহ্য করার মতোও নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭২০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৫২ জন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভাইরাসটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর মাত্র ১০ দিন পর ১৮ মার্চ, দেশ প্রথম করোনা মৃত্যুর খবর পায়। এরপর ভয়াবহ দিন আসে ২০২১ সালের আগস্টে, যখন দুদিনে ২৬৪ জন করে মানুষ মারা যান। সেই মৃত্যুপ্রবাহ এখনো অনেকে ভুলে যেতে পারেননি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আমাদের ফিরতে হবে পুরনো অভ্যাসে। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা, ভিড় এড়িয়ে চলা মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।

টিএইচ

News