
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিনে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পথচারীদের।
শনিবার (৩১ মে) সকালে বৃষ্টি না থাকলেও দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়।
বৃষ্টির কারণে নগরীর আগ্রাবাদের চৌমুহনী, রাহাত্তারপুল, চকবাজার এলাকার বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে পানিতে। এসব এলাকায় মূল সড়কের পাশাপাশি আশেপাশের অলিগলিতেও জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
চট্টগ্রামের আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে। এরমধ্যে বিকেল ৩টা থেকে ৫৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
নগরীর রাহাত্তারপুলে হাঁটু পানি মাড়িয়ে অফিস শেষে বাসায় যাচ্ছিলেন বেসরকারি হাসপাতালে চাকরিজীবী মো. সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামবাসীর এই দুঃখ কখন শেষ হবে জানি না। বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় মানুষের বাসাবাড়ি, সড়ক। অথচ সারাবছর দেখা যায় নালা সম্প্রসারণ, খাল খনন প্রকল্পের কাজ চলে। কিন্তু বর্ষায় সুফল মিলে না।’
আগ্রাবাদের চৌমুহনীর এক পথচারী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা শেষ হবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। ক্ষমতায় আসার আগে সবাই বলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। এখন হাঁটু পানিতে বাসায় যাচ্ছি, সামনে হয়তো কোমড় থেকে গলা পানি দিয়ে যেতে হবে।’
এদিকে গতকাল শুক্রবার টানা বৃষ্টির পরও নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
তিনি বলেন, টানা বৃষ্টির পরও নগরে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য। এর পেছনে চসিকসহ সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। চলমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বাকি কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
টিএইচ