
ফাইল ছবি
সম্প্রতি আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মধ্যে গোপন আলোচনা হয়েছে এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
শনিবার (৩১ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে হাসনাত এই প্রতিক্রিয়া জানান। এর আগে এক ভার্চুয়াল টকশোতে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু দাবি করেন, বিএনপির সঙ্গে এনসিপির ৫০ থেকে ৭০টি আসন নিয়ে ‘পর্দার অন্তরালে’ আলোচনা হয়েছে। তার বক্তব্যে আরো বলা হয়, এমন সমঝোতা হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘এনসিপি বিএনপি কিংবা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে কোনো আলোচনা করেনি। একটি সংগঠনতান্ত্রিক দল হিসেবে এনসিপি জাতীয় পর্যায়ে সাংগঠনিক বিস্তার এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেই মনোযোগী।’
তিনি আরও দাবি করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এনসিপিকে ঘিরে একটি ‘ভিত্তিহীন ইম্প্রেশন’ তৈরি করার চেষ্টা চলছে—যেখানে দলটিকে নির্বাচন পেছানোর পক্ষপাতী দেখানো হচ্ছে। অথচ আত্মপ্রকাশের পর থেকেই এনসিপি বিচার, সংস্কার এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবি জানিয়ে আসছে।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত ভুয়া নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ হয়নি। তাই নতুন নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এর জন্য প্রয়োজন প্রশাসনিক সংস্কার ও একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।’
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠকের মন্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। তবে কোনো সংস্কার ছাড়াই অনুষ্ঠিত নির্বাচন হবে একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট।’
হাসনাতের ভাষায়, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন নয়, বরং ‘জুলাই চার্টার’ অনুযায়ী মৌলিক সংস্কারের মধ্য দিয়েই অর্থবহ নির্বাচন হওয়া উচিত। বিভ্রান্তি নয়, যুক্তি, নীতি ও রোডম্যাপ ভিত্তিক আলোচনা ও ঐক্যের মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে।’
ইউ