
বাজেটে ৪০ ভাগ কৃষিখাতে বরাদ্দের দাবিতে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় সংগঠনের সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সমপাদক মাহবুবর রহমান খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহবায়ক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসানুল হাবিব সাঈদ, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন জেলা সংগঠক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, ডাক্তার আব্দুল জব্বার, পরমানন্দ দাস, মাহবুবর রহমান সিজু প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির সাথে যুক্ত। ৫৩ বছরের শাসনে এদেশের কৃষি-কৃষককে ধ্বংস করে দিয়ে কৃষকদেরকে দিনমজুর, ভুমিহীনে পরিণত করেছে। তাই দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষি ও কৃষকদেরকে রক্ষা করতে হবে। সেইসাথে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, ১০টাকায় ওএমএসর চাল, শহরে কমদামে পর্যাপ্ত টিসিবি কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখা, দলীয়করণ-হয়রানি বন্ধ করা, আর্মির রেটে রেশন। ধান, ভুট্টা, আলুসহ সকল কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত, সরকারি উদ্যোগে ক্রয় কেন্দ্র খোলা ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম, জেলায় হিমাগার নির্মাণ।
কৃষি ঋণ মওকুফ করা, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, বিনাসুদে সহজ শর্তে ঋণ দান, এনজিও মহাজনি ঋণের তীব্র, অমানবিক শোষণ জুলুম আইন করে নিষিদ্ধ করা, কিস্তির হয়রানি বন্ধ।
সকল বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৫ হাজার টাকা দেয়া, এলাকায় এলাকায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্র নুরু-মুক্তির গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, টাকা উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ইউনিয়ন হেলথ সেন্টারে এমবিবিএস ডাক্তার, নার্স, নিয়োগ সহ পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ। ভূমি অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস, ইউনিয়ন/পৌরসভা, তথ্য অফিস,থানা সহ সকল সরকারি অফিসে ঘুষ-দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ, জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু সনদ,জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হয়রানি দুর্নীতি বন্ধ।
ক্ষেত মজুরদের সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা, ১২০দিনের কর্মসৃজন টিআর,কাবিখা-কাবিটা চালু। হাটে হাটে ইজারাদারি জুলুম বন্ধ, সরকারি টোল চার্ট লাগানো, অনিয়ম দুর্নীতি হয়রানি বন্ধসহ পল্লী বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ, ভূতুরে বিল, দুর্নীতি, হয়রানি বন্ধ করে বিনা পয়সায় সংযোগ দেয়া, মিটার ভাড়া বাতিল। খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন করা।
বেকার সমস্যার সমাধানে জেলায় জেলায় কৃষি ভিত্তিক সরকারি শিল্প কারখানা নির্মাণ, বন্ধকৃত পাটকল, চিনি কল অবিলম্বে চালু। নদী ভাঙ্গন ও বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান, ইকোনমিক জোন, পাওয়ার পস্নান, ইট ভাটার নামে কৃষি জমি ধ্বংস বন্ধের দাবি জানান।
টিএইচ