
ছবি সংগৃহীত
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পদযাত্রা শুরু করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। শুধু জয়ই নয়, এই অভিযানে তিনি গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। সবচেয়ে কম সময়ে, সবচেয়ে বেশি পথ পায়ে হেঁটে এভারেস্টে ওঠার নজির গড়েছেন তিনি। বয়সের দিক থেকেও তিনিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম বয়সে এই রেকর্ডধারী।
‘সি টু সামিট’ নামে পরিচিত এই অভিযানে শাকিল কক্সবাজারের ইনানি সমুদ্র সৈকত থেকে যাত্রা শুরু করেন ২৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছান হিমালয়ের শীর্ষে। সোমবার এই অর্জনের খবর নিশ্চিত করেছে বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শাকিল এখন ক্যাম্প ৪-এ অবস্থান করছেন এবং তার অবস্থান ও সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই জানানো হবে।
শাকিলের এই কীর্তি নতুন কিছু নয় তার জন্য। তিনি এর আগেও নানা দুঃসাহসিক অভিযানে অংশ নিয়েছেন। ২০১৩ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় হেঁটে আসা, ২০১৫ সালে কেয়াজো-রি পর্বতশৃঙ্গ জয়, হিমলুংয়ের চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আরোহণ এবং গ্রেট হিমালয়ান ট্রেইল সম্পন্ন করা—সব মিলিয়ে তার অভিজ্ঞতা গভীর ও বিস্তৃত।
এই অভিযানের মাধ্যমে তিনি শুধু শারীরিক সক্ষমতার নয়, পরিবেশ সচেতনতারও বার্তা দিতে চেয়েছেন। প্লাস্টিক দূষণ, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং টেকসই পরিবেশ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য ছিল এই যাত্রার পেছনে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট সাতজন পর্বতারোহী এভারেস্ট জয় করেছেন। শাকিল তাদের সর্বশেষ সংযোজন। এর আগে মুসা ইব্রাহীম, এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবর আলী এই উচ্চতায় পা রেখেছেন।
‘সি টু সামিট’ অভিযানের আয়োজক ছিল বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব। এই অভিযানে টাইটেল স্পন্সর ছিল প্রাণ গ্রুপ এবং সহযোগিতায় ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), মিস্টার নুডলস, মাকলু-ই-ট্রেডার্স, সিস্টেমা টুথব্রাশ, জাগো নিউজ ও জাগো এফএম।
শাকিলের এই রেকর্ডের খবর যেমন বাংলাদেশের জন্য গর্বের, তেমনি বিশ্ব পর্বতারোহণের ইতিহাসেও এটি এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এখন অপেক্ষা, তার নিরাপদে বেসক্যাম্পে ফেরার খবর জানার।
ইউ