
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে—একদিকে কাউকে ছাড়, অন্যদিকে কাউকে দমন করা হচ্ছে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভারতীয় নদী আগ্রাসন ও পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি’ আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার সংস্কার একসঙ্গে চলবে—এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত রোডম্যাপ। নির্বাচন প্রলম্বিত না করে সময়মতো আয়োজন করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করে সরকারের দায়িত্বশীলতা প্রমাণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সরকারের দ্বৈতনীতি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করছে—একদিকে কাউকে ছাড়, অন্যদিকে কাউকে দমন করা হচ্ছে।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আর ভারতের কোনো ধরনের আধিপত্য মেনে নেবে না। দাসত্বের যুগ শেষ, এখন সময় এসেছে মর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ার। প্রতিবেশী দেশের সাথে অবশ্যই সম্পর্ক থাকবে, তবে তা হতে হবে সমতার ভিত্তিতে, কোনো পক্ষের অধিকার হরণ করে নয়।’
ভারতীয় আধিপত্যবাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জনগণ যেমন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, এখন আবার সময় এসেছে নতুন করে এক হওয়ার—একটি ন্যায্য ও সাহসী রাষ্ট্রীয় অবস্থান গড়ে তোলার। আজকের ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে, জনগণের অধিকার হরণ করছে। তবে সেই গদি আজ জনগণই উল্টে দিয়েছে।’
টিএইচ