ঢাকা,

০৫ মে ২০২৫


উপদেষ্টাদের এপিএস-পিওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ২১:৫৯, ৪ মে ২০২৫

উপদেষ্টাদের এপিএস-পিওসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তাদের বিরুদ্ধে কেনাকাটা ও বদলি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা অনুসন্ধানের পর প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিওর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে আসে যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকে আসে। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয়। এই ছাড়া হাইকোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ দুদকে দাখিল করেন। অভিযোগে ওই দুজন ছাড়াও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানেরও নাম রয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন পদত্যাগ করেন।

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গত ২৫ এপ্রিল নিজের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

অন্যদিকে, গত ২১ এপ্রিল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। চলতি বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তার নাম উঠে আসে।

অভিযোগ রয়েছে, এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোয় কাগজের বাজারদরের চেয়ে টনপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেশি দিতে হয়েছে মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজ না কিনলে বই ছাপার ছাড়পত্র মেলেনি। এভাবে শুধু কাগজ থেকে শত কোটি টাকার বেশি কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে এনসিটিবির কয়েকজন কর্মকর্তাসহ গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধে।

টিএইচ

News