
ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিকে অংশ নিতে দেখতে চান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বিএনপি অতীতের মতো কাউকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায় না এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতার পালাবদল হওয়া উচিত।
সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে ভারতের কলকাতার দৈনিক এই সময়-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুলের বক্তব্যের মূল দিকগুলো
-
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: বিএনপি চায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও অন্য দলগুলোও নির্বাচনে অংশ নিক।
-
অশান্তি হবে না: ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হবে, তা হবে উৎসবমুখর পরিবেশে— দাবি ফখরুলের।
-
জামায়াত ও এনসিপি প্রসঙ্গে: জামায়াত প্রচলিত নিয়মেই নির্বাচনে আসবে, তবে তাদের অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হবে না। এনসিপিকে আর কোনো শক্তি হিসেবে দেখছে না বিএনপি।
-
ইউনূস ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনে আন্তরিক, সেনাবাহিনীও চায় নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ হোক।
-
ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে: ভারতের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক কারণে প্রভাব থাকবেই, তবে আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য দলের সঙ্গেও ভারতের যোগাযোগ রাখা উচিত।
-
জামায়াত নিয়ে অবস্থান: ফখরুল বলেছেন, জামায়াত শুধু নির্বাচনী শরিক, তাদের আর সুবিধা নিতে দেওয়া হবে না। বিএনপি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী।
প্রেক্ষাপট
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি ও অবস্থান নিয়ে সংশয় থাকলেও ফখরুল আশ্বস্ত করেছেন যে নির্বাচন সময়মতোই হবে।
ইউ