
ছবি সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে দেশে অপরাধ বৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সরকারি তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১০ মাসে (সেপ্টেম্বর ২০২৪–জুন ২০২৫) বড় ধরনের অপরাধের হার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানে অপরাধের চিত্র
সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি ও সশস্ত্র ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি; বরং কিছু ক্ষেত্রে হ্রাস পেয়েছে। যদিও কিছু নির্দিষ্ট অপরাধে বাড়তি প্রবণতা দেখা গেছে, তবে সামগ্রিকভাবে তা "অপরাধের ঢেউ" হিসেবে চিহ্নিত করার মতো নয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা
সরকারের পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছর ও সাম্প্রতিক ১০ মাসের অপরাধ প্রবণতার তুলনামূলক চিত্রে স্থিতিশীলতা বজায় আছে।
নাগরিকদের প্রতি আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টার পেজে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, "সতর্ক থাকা জরুরি, তবে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।" সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবন করে সচেতনভাবে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তথ্য উপস্থাপন
অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরতে পুলিশ সদর দপ্তর গত পাঁচ বছর ও সাম্প্রতিক ১০ মাসের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ অপরাধের হার আগের মতোই রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কমেছে।
সরকারের এই বার্তার উদ্দেশ্য হলো, গণমাধ্যমে অপরাধ বৃদ্ধির যে আলোচনা হচ্ছে, তা যেন অতিরঞ্জিত না হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে কিছু অপরাধ বাড়লেও জাতীয় পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ইউ