
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংকে "গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ" আখ্যা দিয়ে বলেছেন, গত বছরের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানকালে বিক্ষোভকারীদের গুলি করার নির্দেশ সরাসরি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এসেছিল। তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, "শেখ হাসিনার উপযুক্ত বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হবে।"
বুধবার (৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, বিবিসি আইয়ের যাচাইকৃত ওই অডিওতে শেখ হাসিনাকে নিরাপত্তা বাহিনীকে "প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের" নির্দেশ দিতে শোনা যায়। তিনি বলেছেন, "তারা (বিক্ষোভকারী) যেখানেই পাওয়া যাবে, গুলি করতে হবে।"
গণহত্যা মামলার প্রসঙ্গ
এদিকে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। ১০ জুলাই এ সংক্রান্ত আদেশ দেওয়ার কথা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হয়েছে। শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন, অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মামুন আদালতে হাজির হন।
মামলার পটভূমি
গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ১ জুন অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের বিক্ষোভ দমনে ১,৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা ও সহ-আসামিরা "সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি" ও "জয়েন্ট ক্রিমিনাল ইন্টারপ্রাইজ" তত্ত্বের অধীনে দায়ী।
এই মামলার ফলাফল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আইনি ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ মোড় তৈরি করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ইউ