
‘চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও খুন-খারাবিতে বিএনপি ফ্যাসিস্ট সরকারের সন্ত্রাসীদেরকেও ছাড়িয়ে যাবে। জেলাজুড়ে নৈরাজ্য চলছে। প্রতিদিন দখলবাজি ও রক্ত ঝরছে। কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুর রহমান সুমনের লোকজন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আমরা তাঁর মত কেন্দ্রীয় নেতা আড়াইহাজারের মাটিতে দেখতে চাইনা।’ এমন মন্তব্য আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র প্রবীণ নেতাকর্মীদের। দোকান ভাড়া পরিশোধ না করে উল্টো দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতা সুমনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা প্রকাশ করে তার গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মাত্র ১০ হাজার টাকা বকেয়া দোকান ভাড়া চাওয়ায় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএনপির মাহমুদুর রহমান সুমনপন্থি গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের সালমদী বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৮)। তিনি ওই এলাকার মৃত তালেব আলীর ছেলে।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন সালমদী বাজারে একটি মুদির দোকান পরিচালনা করতেন।এছাড়াও বাজারে তার মালিকানাধীন আরও তিনটি দোকান রয়েছে।এ দোকানগুলোর মধ্যে তিনটি বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিহতের ছেলে রাসেল জানান, আগামী ৫ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমনের অনুসারী ও মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোতা মেম্বার ওই বাজারে তিনটি দোকান ভাড়া নেন। একটির ভাড়া পরিশোধ না করে সেখানে ‘বিএনপির কার্যালয়’ স্থাপন করেন।বাকি দুটি দোকানের ভাড়া নিয়মিত দিলেও কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত দোকানটির ভাড়া দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভাড়া চাইতে জাহাঙ্গীর হোসেন ওই দোকানে গেলে তোতা মেম্বার তার সঙ্গে টালবাহানা শুরু করেন।একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়, এবং তোতা মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেনকে চড় মারেন।পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে তোতা মেম্বারের ছেলে খোকন, রাসেল, ভাতিজা সাদ্দাম, আলমসহ আরও কয়েকজন বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে জাহাঙ্গীরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তোতা মেম্বার ও তার অনুসারীরা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
টিএইচ