
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও যমুনা সেতু সংযোগ সড়কে একাধিক গাড়ি বিকল, সড়ক দুর্ঘটনা এবং একাধিকবার টোল বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে যানচলাচলে ধীরগতি দেখা দেয়।
সন্ধ্যার দিকে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানচলাচল স্বাভাবিক হলেও রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত কিছুটা ধীরগতি দেখা যায়। এতে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
এদিকে জেলা পুলিশ বলছেন, বিকেলের পর থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। ফলে যানবাহনের চালকরা বিশেষ করে বাস ও ট্রাকে যাত্রী নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে যায়। এতে করে উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহনের লম্বা লাইন হয়ে যায়।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮৪৫টি উত্তরমুখী যানবাহন এবং ২১ হাজার চারটি ঢাকামুখী যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে।
জানা যায়, উত্তরের জেলাগুলোর গেটওয়ে হিসাবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৬টি জেলাসহ মোট ২৩টি জেলার অন্তত ১১৬টি রুটের ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদে এই সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়ে যায়। এতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে মহাসড়কে, বিশেষ করে যমুনা সেতু মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. শরীফ জানান, দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে থেমে থেমে গাড়ি চলছে। যানজট নিরসনে কাজ করছে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যার পর মহাসড়কে মানুষের ঢল নামে। যে কারনে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহনের টেল তৈরি হয়। তবে কোথাও কোন যানজটের তৈরি হয়নি।
টিএইচ