
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা থামেনি। ইরানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তেহরানে জোরালো হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট। জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সতর্ক করেছে, ‘কোনো আগ্রাসন হলে ভয়াবহ ও সময়োচিত জবাব দেয়া হবে।’
কী বলছে ইসরায়েল?
-
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
-
প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট বলেছেন, "ইরান চুক্তি ভঙ্গ করেছে। আমরা শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানাব।"
-
অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এক্স (টুইটার)-এ লিখেছেন, "তেহরান কাঁপবে।"
ইরানের পাল্টা বক্তব্য
ইরানের কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে তারা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেনি। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ স্পষ্ট করে দিয়েছে, "ইসরায়েলি আক্রমণ হলে তাৎক্ষণিক ও ধ্বংসাত্মক জবাব দেওয়া হবে।"
যুদ্ধবিরতি নিয়ে সংশয়
গতকাল (২৩ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইসরায়েল-ইরান "সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে" সম্মত হয়েছে। কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই দাবি নাকচ করে দেন। আজ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেও মাঠে পরিস্থিতি অস্থির।
পটভূমি
-
১৩ জুন: ইসরায়েল ইরানের উপর হামলা চালায় (‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’)। তেহরানসহ多个 স্থানে হামলায় ৫০০-এর বেশি নিহত,包括 senior military commanders ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা।
-
প্রতিশোধ: ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ চালিয়ে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে।
-
২১ জুন: মার্কিন হামলায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত।
-
২৩ জুন: ইরাক ও কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা।
পরবর্তী পদক্ষপে কী?
উভয় পক্ষের হুঁশিয়ারি ও হামলা প্রস্তুতি চলমান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘাত প্রশমনে চাপ বাড়ালেও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রয়েই গেছে।
ইউ