
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার প্রেক্ষাপটে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এই চিঠি নিয়ে রাশিয়া গেছেন এবং তা রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের কাছে হস্তান্তর করেছেন। খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সূত্রের বরাতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইরান চায়—ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিক রাশিয়া। তবে খামেনি কী ধরনের সহায়তা প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার ক্রেমলিনে আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠকে ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আগ্রাসনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানি জনগণকে সাহায্য করতে রাশিয়া প্রস্তুত।’ পুতিনের এই অবস্থানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরাগচি বলেন, ‘রাশিয়া সঠিক ইতিহাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
এদিকে ইরান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামেনি এবং প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও পুতিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় চালানো হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রোববার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে যুক্তিই দেয়া হোক না কেন, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানো দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত।’
রাশিয়া আরো জানায়, তারা এই আগ্রাসন বন্ধে আহ্বান জানাচ্ছে এবং সংকট নিরসনে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সংকটে ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, যেখানে রাশিয়ার সক্রিয় অংশগ্রহণ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ইউ