
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনার ওপর বিমান হামলার মাত্র কিছু ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ অভিযোগ করেছেন, ‘বেশ কয়েকটি দেশ ইরানকে সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’ এই তথ্য তুর্কি ভিত্তিক টিআরটি ওয়ার্ল্ডের লাইভ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মেদভেদেভের চাঞ্চল্যকর মন্তব্য:
রাজনৈতিক টেলিগ্রাম পোস্টে মেদভেদেভ আরও বলেন—
-
ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ‘ন্যূনতম বা উল্লেখযোগ্য ক্ষতি’ হয়নি।
-
‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও সম্ভাব্য অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’
-
যুক্তরাষ্ট্র “আরেকটি বড় সংঘাতের ঝুঁকিতে” পড়তে পারে, কারণ হামলার ফলে ইরানি নেতৃত্ব “রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী” হয়েছে।
কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও আইনগত প্রশ্ন
পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে বলে—
‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালানো একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত, যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
হামলার পরিপ্রেক্ষিত
রবিবার (২২ জুন) ভোরে মার্কিন বি‑2 স্টেলথ বিমানে ইরানের ফরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলাকে ‘সফল’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
বিশ্ব নিরাপত্তায় প্রভাব
বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তামূলক উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে:
-
যুক্তরাষ্ট্র–ইরান–রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা জাগছে।
-
মেদভেদেভের মন্তব্য “নতুন অস্ত্র সরবরাহ ও পারমাণবিক সমৃদ্ধির পথ খুলে দিতে পারে,” – এক বিশ্লেষকের মত।
-
পাশাপাশি, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সমাধান ও জনতাবান্ধব উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়েছে।
উপসংহার:
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলার আন্তর্জাতিক ছায়া পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতে। মেদভেদেভের মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে—এক পক্ষ নতুন অস্ত্র সরবরাহের কথা ভাবছে, অন্য পক্ষ এ নিয়ে বৈশ্বিক আইনগত বিপর্যতের আশঙ্কা প্রকাশ করছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠছে—এ সংকট কখন কোন দিকে যেতে পারে?
ইউ