
ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার ইরান থেকে ছোড়া সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ১৭ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের অবস্থা গুরুতর।
এমডিএ এক বিবৃতিতে জানায়, এমডিএর চিকিৎসক ও প্যারামেডিকরা ১৬ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন, যার শরীরের ওপরের অংশে ক্ষেপণাস্ত্রের ধাতব টুকরার আঘাত লেগেছে এবং তার অবস্থা গুরুত। ৫৪ ও ৪০ বছর বয়সী আরো দুজনের নিচের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ধাতব টুকরার আঘাত লেগেছে।
আর বাকি ১৪ জন সামান্য আহত হয়েছেন। তবে কোথায় এই হামলা হয়েছে বিবৃতিতে তা উল্লেখ করা হয়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সবশেষ ইরানি হামলায় আনুমানিক ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে।
প্রায় ২০ মিনিট পর সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, মানুষ আবার আশ্রয়স্থল ছেড়ে বের হতে পারে। এর আগেও একই দিনে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জেরে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে সাইরেন বাজে। পরে পুলিশ জানায়, তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেইরশেভা শহরের একটি ‘ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার স্থানে’ উদ্ধারকর্মী ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সঙ্গে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, আবাসিক ভবনের কাছে একটি গর্ত ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালাচ্ছেন।
সেখানে পুড়ে যাওয়া গাড়ির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে, আর ধ্বংসপ্রাপ্ত ব্যালকনিগুলোর বিকৃত ধাতব কাঠামো ঝুলে রয়েছে।
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে দাবি করে ইসরায়েল গত সপ্তাহে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলা চালায়, যার জবাবে সঙ্গে সঙ্গেই তেহরান পাল্টাহামলা চালায়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৩ জুন থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পরমাণু বিজ্ঞানী ও বেসামরিক লোকজন রয়েছে।
টিএইচ