ঢাকা,

১৩ জুন ২০২৫


ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: ধ্বংসস্তূপ থেকে চলছে লাশ উদ্ধার

বিজনেস আই ডেস্ক

প্রকাশিত হয়েছে: ১৭:৫৫, ১২ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৭:৫৮, ১২ জুন ২০২৫

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা: ধ্বংসস্তূপ থেকে চলছে লাশ উদ্ধার

ছবি সংগৃহীত

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো দেশ। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান। বোয়িং ৭৮৭-৮ সিরিজের এআই ১৭১ ফ্লাইটটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল, onboard ছিল ২৪২ জন আরোহী।

দুর্ঘটনার পরপরই আগুন ধরে যায় বিমানে। উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (NDRF)-এর অন্তত ৯০ সদস্যের তিনটি বিশেষ দল। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক মরদেহ বেরিয়ে আসছে। এখনও বহু আরোহীর সন্ধান মেলেনি। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিমানটিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন—১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক।

দুর্ঘটনার আগে বিমানটি ‘মেডে কল’ (Mayday Call) পাঠায়, যা সাধারণত গুরুতর বিপদের সংকেত হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু সংকেত পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)।

দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যম এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ তিনি লেখেন,
“আহমেদাবাদের দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক করেছে। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়, কতটা হৃদয়বিদারক এই ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি, এবং উদ্ধার ও সহায়তায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল জানান, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চালানো হচ্ছে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের বিমানে কী ঘটেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। সমস্ত জরুরি সেবা এবং তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।”

এদিকে বিমানবন্দরের কার্যক্রম আংশিকভাবে চালু রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার তদন্তে বোয়িং কোম্পানি, ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) এবং DGCA যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে।

এখন পর্যন্ত হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা নিশ্চিত করা না গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে এই দুর্ঘটনা ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় বিমান বিপর্যয় হতে পারে।

ইউ

News