ইউক্রেন যুদ্ধে গিয়ে রাশিয়ার প্রায় ১০ লাখ সেনা হতাহত হয়েছে। এই সংখ্যা শিগগিরই ১০ লাখ পার হতে পারে। একটি গবেষণায় সম্প্রতি এমন তথ্য এসেছে বলে সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার প্রতিবেশী দেশের ওপর তিন বছরে যে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছেন, সেনা নিহত ও আহতের সংখ্যা তারই একটি ভয়াবহ পরিণতি বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সিএনএন বলছে, ওয়াশিংটন ডিসির একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) মঙ্গলবার গবেষণার ফল প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, রাশিয়া সম্ভবত এই গ্রীষ্মে ১০ লাখ হতাহতের সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলবে। অত্যাশ্চর্য মাইলফলকটি পুতিনের তাঁর সেনাদের প্রতি স্পষ্ট অবহেলার লক্ষণ।
গবেষণা অনুসারে, এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৯ লাখ ৫০ লাখ রুশ হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে আড়াই লাখ সেনা মারা গেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কোনো সোভিয়েত বা রাশিয়ান যুদ্ধে এই মৃত্যুর হার এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইউক্রেনে প্রায় ৪ লাখ হতাহতের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ৬০ হাজার থেকে এক লাখের মতো সেনা মারা গেছে।
প্রতিবেদন বলছে, কিয়েভ তাদের নিজস্ব যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে না এবং মস্কো তাদের নিজস্ব হতাহতের ঘটনাকে অত্যন্ত অবমূল্যায়ন করে বলে মনে করা হয়। সিএসআইএসের পরিসংখ্যান ব্রিটিশ এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গত মার্চ মাসে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমান করেছিল, ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া প্রায় ৯ লাখ হতাহত হয়েছে। কয়েক মাস ধরে তারা তথ্য দিচ্ছে, রাশিয়ার প্রতিদিন প্রায় এক হাজার সেনা নিহত বা আহত হচ্ছে। এই প্রবণতার ওপর ভিত্তি করে আগামী সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ১০ লাখের বেশি সেনা হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে ইউক্রেনের বেশকিছু এলাকা দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। চলতি বছরে জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এই যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এখনো কোনো সমাধান আসেনি।
টিএইচ
.png "Halim-&-Firni")
