ঢাকা,

৩১ জুলাই ২০২৫


সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে বাধ্যতামূলক অবসর

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৬:০৯, ২৪ জুলাই ২০২৫

সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে বাধ্যতামূলক অবসর

ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিজীবীদের কর্মবিরতি বা আন্দোলনের বিরুদ্ধে কঠোর বিধান সংবলিত নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। বুধবার (২৩ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর দ্বিতীয় সংশোধনী অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়েছে।

নতুন অধ্যাদেশের মূল বিষয়বস্তু

নতুন বিধান অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী যদি:

  • ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বৈধ আদেশ অমান্য করেন

  • ছুটি বা যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া সম্মিলিতভাবে কাজে অনুপস্থিত থাকেন

  • অন্য কোনো কর্মচারীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেন

তাহলে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হতে পারে অথবা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।

জরুরি অবস্থায় অধ্যাদেশ জারি

সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতাবলে এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। আইনজীবীদের মতে, এই সংশোধনী মূলত সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলন রোধে প্রণয়ন করা হয়েছে।

শাস্তির প্রক্রিয়া

অভিযুক্ত কর্মচারীকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর শুনানি শেষে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ:

  • পদোন্নতি স্থগিত

  • বেতন গ্রেড হ্রাস

  • বাধ্যতামূলক অবসর

  • চাকরি থেকে বরখাস্ত

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত

আইনবিদরা বলছেন, এই অধ্যাদেশ সরকারি কর্মচারীদের সাংগঠনিক আন্দোলনের সুযোগ সীমিত করবে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এটিকে বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে।

এই অধ্যাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ইউ

News