
জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলা হত্যা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু থানা পুলিশ বা অন্যকোনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের গ্রেফতার না করায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আসামিরা মামলার বাদীকে বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেয়াসহ জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে।
এমতাবস্থায় বাদী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে। নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলার ছোট বোন সানজিদা আক্তার আভা রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এসময় তার মা মোছা. লিপি সরকার তার পাশে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ঠাকুরগাঁও এলাকার ইসলামনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকার (বর্তমানে গাইবান্ধা শহরের শাপলাপাড়া) লিপি সরকারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলার সাথে ৮ বছর আগে ডেভিডকোম্পানীপাড়ার মাহবুবর রহমানের ছেলে শেখ রোমানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শেখ রোমান স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
এ অবস্থায় তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শাপলার ওপর মানসিক ও অত্যাচার নিয়ে স্বামী শেখ রোমানের বিরুদ্ধে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। তাতেও স্ত্রীর ওপর রোমানের অত্যাচারের মাত্রা কমেনি। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় অমানুষিক নির্যাতন করে শাপলাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের শাপলার মা লিপি সরকার বাদী হয়ে পরেরদিন গাইবান্ধা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩০।
মামলা দায়েরের পর প্রায় একমাস পর থানা পুলিশ এক নম্বর আসামি শেখ রোমানকে গ্রেফতার করে। অন্যান্য আসামিরা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন লাভ করে, যার মেয়াদ গত ১৬ জুন শেষ হয়েছে। কিন্তু আসামিরা নিম্ন কোর্ট থেকে জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে থানা পুলিশ বা অন্য কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে গ্রেফতার করছে না।
সংবাদ সম্মেলন থেকে নিহত শাপলার বোন সানজিদা আক্তার আভা হত্যা মামলা আসামিদের দ্রæত গ্রেফতার করে সকল আসামির দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। মামলাটি যাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না হয়, সেব্যাপারে তিনি পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Sent from vivo smartphone
টিএইচ