
বার্ষিক প্রায় ১.২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হারে প্রতি বছর প্রায় ২১ লাখ মানুষ যুক্ত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ অভিবাসন ঢাকাতে বেশি। জনসংখ্যা ঢাকাতে বেশি, যা বিশ্বে চতুর্থ। আমাদের আবাসন খাতে ঘাটতি ৬ মিলিয়ন।
২০৩০ সালে এটি ১০.৫ মিলিয়ন পৌঁছাবে। চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতি অনেক। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ নতুন অ্যাপাটমেন্টের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা এই ইউনিটের ৮ শতাংশ সরবরাহ করতে পারে। ২০১২ সাল থেকে আবাসন খাতে বছরে ১.৫ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু এর ৯০ শতাংশ আবাসিক বাড়ি বা অ্যাপারট্মেন্ট নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য চাপে রয়েছে কোভিড ১৯ মহামারির কারণে।
“ড্যাপ নিয়ে জটিলতা: টেকসই নগরায়ণ প্রসঙ্গ” শীর্ষক নাগরিক সংলাপের আয়োজন করেছে, সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। আলোচনাটি ( ২০ আগস্ট) বুধবার, সকাল সাড়ে নয়টায় সিরডাপ (সেন্টার অন ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পারভেজ করিম আব্বাসী, সিজিএস-এর নির্বাহী পরিচালক, ইষ্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভারনেন্স স্টাডিজ এর প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান।
সংলাপে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড; ডা শামীম হায়দার পাটওয়ারী, আইনজীবী ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য; আলমগীর কবির, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী; নিলুফার চৌধুরী মনি, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, বি এন পি; মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; এম এ আজিজ, সিনিয়র সম্পাদক, দ্য ফাইন্যান্সিয়াল পোস্ট; এম এস শেকিল চৌধুরী, চেয়ারপারসন ও প্রতিষ্ঠাতা, সেন্টার ফর এনআরবি; ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; ফারজানা শারমিন পুতুল, মানবাধিকার কমিটি ও মিডিয়া সেল, বিএনপি; আব্দুল হক, বারভিডা-এর সাবেক সভাপতি ও ঢাকাস্থ জাপানীজ ইনভেস্টার্স এসোসিয়েশন-এর বিশেষ উপদেষ্টা; প্রীতি চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান, ইউনিভার্সাল মেডিকাল কলেজ ও হাসপাতাল; ড. আলিয়ার হোসেন, লন্ডন-এর নর্থহামব্রিয়া ইউনিভার্সিটির স্টাটেজিস্ট ও হেড অব ডিপার্টমেন্ট; ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর গোপাল রয়, এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর, হেপটাটেক লিমিটেড; সরদার আমিন, সভাপতি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফোরামের (বিডিইএফ); আব্দুর রাজ্জাক, ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স), রিহ্যাব; আলহাজ সেলিম রাজা পিন্টু, পরিচালক, রিহ্যাব; ডা মোঃ হারুন অর রশীদ, পরিচালক, রিহ্যাব; হাবিবুর রহমান হাবিব, উপদেষ্টা, বি এন পি চেয়ারপারসন; রুহিন হোসেন প্রিন্স, সেক্রেটারি, সিপিবি; দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ, আহ্বায়ক, ঢাকা সিটি ল্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংলাপের শুরুতে জিল্লুর রহমান বলেন, সবাই নিজেদের সাথে ড্যাপকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এর জন্য সাধারণ জনগণ ভুক্তভোগী হচ্ছে। বাস্তবে আবাসিক নগর পরিকল্পনা চলছে যা ড্যাপের নিয়ম না মেনে করা হচ্ছে। ভালো কোন স্কুল নেই। নাগরিকরা চুপ থাকলে কি হয় তা এই ১৫ বছরে দেখেছি। কিন্তু নাগরিক যদি সচেতন থাকে তাহলে কেউই থামাতে পারবে না উন্নতির দিকে যেতে, ক্ষমতায় যেই হোক না কেন। ঢাকাতে একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়ে যায়। ড্যাপ এর সংলাপে অনেকসময় সরকারের লোক আসতে চায় না। তাদের আবার নিরাপত্তার সংকট আছে। অথচ জনগণের টাকা দিয়ে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হয়। কিন্তু তা তাদের জন্য যথেষ্ট হয় না। তারা আসতে চায় না। কারণ নগরবাসীর অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে তাদেরকে। কিন্তু এখন আর এটি করা যাবে না। মেগা সিটি বানানোর নামে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। অনেকে গোপনে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। কেউ রাস্তায় মার খেলে আমরা তাকে উদ্ধার করি না। ভিডিও করি। মানবিকতার সমস্যা দেখা দিয়েছে আমাদের। ড্যাপের ফলে বাড়ি ভাড়া বেড়ে চলছে। যার প্রভাব বাজারেও পড়ছে।
পারভেজ করিম আব্বাসী মূল প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭.৫ কোটি। বাংলাদেশ বিশ্বে ৮ম। ড্যাপ ২০২২ সালে চালু করে। ২০২৩ সালে গেজেট আকারে প্রকাশ করে। ঢাকার মত উচ্চ জনঘনবসতিপূর্ণ এলাকা যেখানে সরকারি সেবা ও সুবিধার কার্যকর বিকেন্দ্রীকরণ নেই সেখানে যানজট কমাতে ফ্লোর এরিয়া রেশিও মানের উপর জোর দেওয়া সম্ভবত যুক্তিসংগত নয়। বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। আমাদের অবকাঠামো খুবই সীমিত। ঢাকা অপরিকল্পনার জন্য কৃষি জমি ও নদী কমে যাবে। উচ্চ ফ্লোর রেশিও ঘনবসতিপূর্ণ উন্নয়নকে সমর্থন করে। আমাদের ল্যান্ড রিভাইভালের কাজ করতে হবে। আমলারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে না। এটি জনগণের জন্য করতে হবে। আমাদের গ্রিন বিল্ডিং ডিজাইন অবলম্বন করতে হবে, যেটি চীন করছে। ঢাকা বসবাসযোগ্য না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভালো থাকবে না। কোন পলিসি করলে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের যুক্ত করতে হবে। সকল মহলের সহযোগিতা করতে হবে। রাজউকে আপ্লিকেশন প্রসেস ডিজিটাইজেশন করতে হবে। দুর্নীতি কমে যাবে তাহলে। ঢাকার বাইরে ট্রান্সপোর্ট সহজ করতে হবে।
আলমগীর কবির বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। রাজনীতি ও আমলাতন্ত্র দেশটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। আমলা দোষ দেয় রাজনীতিবিদদের। রাজনীতিবিদরা দোষ দেয় আমলার। আমাদের দরকার সর্বস্তরে নিতীবান ও সৎ ব্যক্তিত্ব।
মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, আইনের কনসিস্টেনসি বা কন্টিনিউটি থাকতে হবে। বারবার ড্যাপ বদলালে আইন আরও কঠিন হয়ে যাবে। প্ল্যান করার সময় কোঅরডিনেশন থাকতে হবে। কোন সিধান্ত একটি জায়গা থেকে সকলকে নিয়ে নির্ধারণ করতে হবে। ২০১২ সালে কেউ রেজিস্ট্রেশন করল। এখন ২০২৫ সাল কিন্তু তার রেজিস্ট্রেশন হয় নি। এই টাকাটা তারা ট্যাক্সের কই দেখাচ্ছে? কমপ্লায়েন্স থাকতে হবে। বাড়ি বানানোর পর আবার বাড়ি ভাঙ্গা অপচয়। আমাদের প্রথমে দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হবে। আইন যখন তখন বদলানো বাদ দিতে হবে।
ডা শামীম হায়দার পাটওয়ারী বলেন, ভূমিকম্প হলে ঢাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। ভবনের চাপে বেশিরভাগ মানুষ মারা যাবে। ডি আই টি থেকে রাজউক করা হয়েছে, ঢাকার উন্নতির জন্য। রাজউককে ডিসম্যানটেল করতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণ করা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। গ্রামগুলোকে উন্নত করতে পারলে ঢাকার উপর চাপ কমবে। ঢাকার গুরুত্ব কমিয়ে উপজেলার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। মাঠ যা আছে, পুকুর যা আছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। ভবন ব্যবসায়ীরা এখন বেতন দিতে ধাক্কা খাচ্ছে। জমির উচ্চ দামের জন্য ভাড়া থেকে ৫০ বছর লাগবে তা পূরণ করতে। আবাসন করে ভাসমান জনসংখ্যার সংখ্যা কমানোর জন্য মাস্টার প্ল্যান করতে হবে। আবাসন মানুষের অধিকার। এখানে মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আগাতে হবে। আইন করা হলে তা একমাত্রিক হয়ে যায়। এখানে রিকনসিডার করতে হুবে। স্টেকহোল্ডার অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে।
নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, বাংলাদেশে অনিয়মের কারণে অনেক সম্ভাবনাই বাস্তবে রুপ নেয় নি। বড় ভূমিকম্প হলে চিপা গলির ভিতরের ভবনগুলোর অবস্থা খারাপ হবে। উদ্ধার করা যাবে না কোন মানুষকে। রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীদের এটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ঢাকার ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নেই। ভূমিকম্প হলে ভবনের কি হবে তা নিয়ে সরকার চিন্তা করে না। ঢাকার সবুজ এলাকায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে সবুজ এলাকা কমে যাচ্ছে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নতি না করতে পারলে ঢাকার জনসংখ্যা আরও বাড়বে। ঢাকার ১ কোটির মেহনতি মানুষকে নিয়ে ভাবতে হবে। কেবল উচ্চ মানুষদেরকে নিয়ে ভাবলে হবে না। ড্যাপের উচিত সমতাভিত্তিক ভাবে কাজ করা। সুন্দরবনে রামপালে অ্যাসেসমেন্ট ছাড়া ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে।
আব্দুল হক বলেন, ঢাকাকে দুই ভাগ করা হয় বিগত সরকারের আমলে। এত বড় এলাকাকে একজন পরিচালনা করতে পারে না। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে একটি সরকার করতে হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন গভারনমেন্ট করতে হবে। পরিবহন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন দরকার।
দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ বলেন, ড্যাপকে জনবান্ধব ঢাকা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ড্যাপকে পক্ষপাত না হয়ে কাজ করতে হবে।
এম এস শেকিল চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে সিধান্ত গ্রহণে যে বসে তার সিধান্তই মেনে চলা হয়। এটি পরে আর বদলানো যায় না। অভিজ্ঞ প্ল্যানারকে কাজে লাগাতে হবে। প্রপার প্লানিং করে সামনে আগাতে হবে।
মুজিবুর রহমান বলেন, ড্যাপ নিয়ে যখন প্রকল্প শুরু হয় তখনই ঐখানে কিছু সমস্যা ছিল। জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। প্ল্যান ছাড়া বাড়ি করা হচ্ছে। দুর্নীতি আমাদের আসল সমস্যা। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা আমাদের থাকতে হবে।
এম এ আজিজ বলেন, ঢাকা শহর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৬৫ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে যাবে। রেস্কিউ করা যাবে না কাউকে। ঢাকাকে রিলোকেট করতে হবে। নাহলে সিঙ্গাপুর মডেল অবলম্বন করতে হবে। ডেভেলপারদের জি ডি পি অবদান অনেক কম।
ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, সাভারকে ডিগ্রেটেড এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে কিছুদিন আগে। এটি দেশে প্রথম। এই শহরে বিনোদনের জায়গা নেই। ঢাকায় অভিজাত এলাকা বাদে ফুটপাতে হাঁটার জায়গা নেই। আমাদের ইকোসিস্টেম কলাপস করেছে। শহরের কাজে সকল অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় করা দরকার। কিন্তু এটি আমাদের দেশে হয় না। আইনগুলো এক ধারায় চলে না। এই নগর অঞ্চলকে বসবাসযোগ্য করতে হলে ম্যানেজমেন্ট হায়ার করতে হবে।
ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। আমাদের মনজগতে পরিবর্তন আনতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক। ফিনানশিয়াল ও মনজগতের দুর্নীতি না বন্ধ হলে কোন ড্যাপের আলোচনা ফল্প্রুস হবে না।
প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, সবাইকে নিয়ে সাস্টেইনেবল প্লান করতে হবে। সমন্বয়হীনতা কমাতে হবে। সবাইকে চাইলেই উচ্ছেদ করা যায় না। ভূমিকম্প নিয়েও চিন্তা করতে হবে।
ড. আলিয়ার হোসেন বলেন, সাস্টেইনেবল সিটিতে ভালো ট্রান্সপোরট থাকতে হবে। আমাদের কি এমন ব্যবস্থা আছে? আমাদের মেডিকেল সাউথ এশিয়াতে সর্বনিম্ন। বাচ্চাদের প্লেইং এরিয়া থাকতে হবে। কপোরেশনের জবাবদিহিতা আমরা সাধারণত এড়িয়ে যাই।
প্রবীর গোপাল রয় বলেন, যখন আমরা কোন আইন সংশোধন করি তখন দেখা যায় তা আগের থেকেও আরও জটিল হয়ে যায়। এটি বদলাতে হবে। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।
সরদার আমিন বলেন, আমি পরিবেশ ও নগর নিয়ে কাজ করছি। চলন বিল এলাকা ও সুন্দরবন অনেক কমে গেছে। বিল্ডিং এর উচ্চতা বেড়ে গেছে। ২০২৪ সালে জলজ আইন হয়েছে কিন্তু নদী ভরাট ঠিকই হচ্ছে। আইনের প্রয়োগ হচ্ছে না। বাংলাদেশে ১ কোটি লোক ভাসমান অবস্থায় আছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত দেড় বছরে ৩৭ টি মিটিং করেছে। কিন্তু কোন ফল্প্রুস কিছু হয় নি। কোন প্ল্যান ছাড়া বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। ড্যাপকে সার্বজনীন কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে।
আলহাজ সেলিম রাজা পিন্টু বলেন, ঢাকা শহরের সুন্দর বাড়ির পিছনে রিহ্যাবের অবদান আছে। ঢাকাতে ভবন নির্মাণ নীতিমালা ২০০৮ অনুযায়ী ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এই আইন বাদ দিতে হবে। ২০১০ সালে যেই ড্যাপ হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হয় নি এখনো। ব্যবস্থাপনায় আমুল পরিবর্তন দরকার। রাজউকের এত বড় এলাকা দেখভাল করা সম্ভব হচ্ছে না। একটি অধিদপ্তর করা দরকার। এটির মাধ্যমে আমাদের ভবনের সমস্যা সমাধান হবে।
ডা মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, ড্যাপের তিন বছর হল গেজেটেড হয়েছে। কিন্তু তাদের এই অগ্রগতি নিয়ে রাজউকে কোন আলোচনা হয় নি। স্কুলের পাশে ডাম্পিং করা হয়েছে। এটা এখানে থাকার কথা না।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঢাকাতে যারা চাকরী করতে চায় তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়ে বলা উচিত অন্য শহরে তারা যদি যায় তাদেরকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হবে। তাহলে সমস্যার কিছু সমাধান হবে।
পারভেজ করিম আব্বাসী সকল বক্তাদের কথা শেষে বলেন, রাজউকের ইন্ডিপেন্ডেন্ট বডি ইলেক্টেড হতে হবে।
টিএইচ