ঢাকা,

২৫ মে ২০২৫


ঈদে আসছে নতুন টাকা, থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি: গভর্নর

বিজনেস আই রিপোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১৯:৫৫, ২৪ মে ২০২৫

ঈদে আসছে নতুন টাকা, থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি: গভর্নর

ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে আসছে নতুন নকশার টাকা। তবে নতুন মুদ্রিত এসব টাকায় থাকছে না কোনো ব্যক্তির ছবি।

শনিবার (২৪ মে) সকালে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ‘নতুন নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকবে না, বরং এতে দেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার চিত্র থাকবে।’ রাজধানীর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে দেশের প্রথম ‘ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিম’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গভর্নর জানান, ঈদে বাজারে প্রথম ধাপে ‘১০০০, ৫০ এবং ২০ টাকার’ নতুন নোট ছাড়া হবে। ইতোমধ্যে **২০ টাকার নোটের ছাপার কাজ প্রায় শেষ, এবং আগামী সপ্তাহে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ টাঁকশাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তাদের একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই। এ কারণে প্রাথমিকভাবে এই তিন ধরনের নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

টাঁকশাল জানিয়েছে, নতুন নোটের নকশা পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত আসে ‘গত ডিসেম্বরে’, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে। এর আগে **আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে** আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত হয় এই সরকার। নতুন নোট ছাপার প্রক্রিয়া শুরু হয় চলতি মাসেই।

গভর্নর আরো বলেন, ‘বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গীকার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে বৈশ্বিক চাপ তৈরি হয়েছে, যা অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।’

তিনি জানান, পাচারকৃত অর্থের একটি অংশ ইতিমধ্যে ‘ফ্রিজ’ করা হয়েছে, যা ফেরত আনার ‘প্রথম ধাপ’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, ‘পিকেএসএফ-এর নতুন ক্রেডিট এনহ্যান্সমেন্ট স্কিমে’ অংশীদার এমএফআইগুলোকে ২৪০ কোটি টাকার রিজার্ভ তহবিলের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণ গ্যারান্টি দেওয়া হবে। এর বিপরীতে ০.৫ শতাংশ কমিশন আদায় করা হবে।

সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় এই পাইলট স্কিমে পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

ঈদের আগে নতুন নোটের আগমন যেমন সাধারণ মানুষের মাঝে উৎসাহের জন্ম দিয়েছে, তেমনি কোনো ব্যক্তির ছবি বাদ দিয়ে কেবল ঐতিহাসিক স্থাপনা রাখার সিদ্ধান্তকে অনেকেই ‘নিরপেক্ষতা ও ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন’ হিসেবে দেখছেন। তবে বাজারে নোট ছাড়া ও অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করা সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেল।

ইউ

News