
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫) মুদ্রানীতিতে রেপো সুদহার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়ে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে ব্যাংকিং খাতের অন্যান্য হারও স্থিতিশীল রাখা হয়েছে।
প্রধান সিদ্ধান্তসমূহ:
-
রেপো হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত (২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে এ হার বলবৎ)
-
এসএলএফ হার (স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি) ১১.৫০ শতাংশ
-
এসডিএফ হার (স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি) ৮ শতাংশ (১৫ জুলাই ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছিল)
-
মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য জুন ২০২৬ নাগাদ ৬.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৫.৫০ শতাংশ
কারণ ও প্রেক্ষাপট:
গভর্নর ড. মনসুর জানান, জুন ২০২৫-এ মূল্যস্ফীতির হার গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন (৬.৮০ শতাংশ) পর্যায়ে পৌঁছালেও তা এখনো লক্ষ্যমাত্রার (৬.৫০ শতাংশ) কাছাকাছি। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল করতে রেপো হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, "মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত নীতি হার বাড়ানো বা কমানো হবে না।"
ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া:
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি গত জুনে মাত্র ৬.৪০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিনিয়োগে ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সুদহার কমানোর দাবি জানালেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি এড়াতে রক্ষণাত্মক অবস্থান বজায় রেখেছে।
বিশ্লেষণ:
-
মুদ্রানীতির কঠোরতা অব্যাহত রাখায় ব্যাংকিং খাতে ঋণের ব্যয় বাড়তে পারে, তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে।
-
এসডিএফ হার কমানোয় ব্যাংকগুলো এখন বেশি লিকুইডিটি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে উৎসাহিত হবে না, যা বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়াতে পারে।
আগামী পদক্ষেপ:
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও স্থানীয় বাজারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনে নীতিহার সামঞ্জস্য করা হবে।
ইউ