
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও, তাদের কর্মপরিবেশ ও অধিকার নিয়ে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। যদিও নারী শ্রমিকরা মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৮০% গঠন করেন, তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সম্মানজনক আচরণ এবং সমান মজুরি নিশ্চিত করা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত নারী শ্রমিকরা প্রায়ই নিরাপত্তাহীন পরিবেশে কাজ করেন। ২০১৯ সালে ActionAid-এর এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ৮০% গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মস্থলে যৌন নিপীড়ন বা হয়রানির শিকার হয়েছেন বা প্রত্যক্ষ করেছেন। এছাড়া, ২০২৫ সালের মার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নারী শ্রমিকরা প্রায়ই যৌন হয়রানি, মজুরি বৈষম্য এবং সীমিত সুযোগ-সুবিধার সম্মুখীন হন।
নারী শ্রমিকদের জন্য সমান মজুরি ও অধিকার নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০২৪ সালের মার্চে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে পুরুষদের তুলনায় নারী শ্রমিকদের মজুরি ২২% থেকে ৩০% কম। এছাড়া, অনেক নারী শ্রমিক মাতৃত্বকালীন ছুটি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হন।
বাংলাদেশের সমাজে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নারী শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সমান মজুরি এবং সম্মানজনক আচরণ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল স্তরের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং নেতৃত্বের সুযোগ বৃদ্ধি করে তাদের ক্ষমতায়ন সম্ভব।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা, সম্মান ও সমান মজুরি নিশ্চিত করতে সরকারের আইনগত পদক্ষেপের পাশাপাশি সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। নারী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ইউ