লস অ্যাঞ্জেলেসে ফের বিক্ষোভ, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে বেআইনি বললেন গভর্নর

অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে ফের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেদর মোতায়েন করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছেন অঙ্গরাজ্যটির ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম।

সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদন বলছে, অভিযানের প্রতিবাদের রোববার টানা তৃতীয় দিনের বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের সময় ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা ফেডারেল সরকারি ভবনের চারপাশে মোতায়েন ছিল।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বেশ কয়েকটি সমাবেশকে বেআইনি সমাবেশ ঘোষণা করেছে। তাদের অভিযোগ, কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে কংক্রিট, বোতল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ছুড়ে মেরেছেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় শহরের একটি রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।

পুলিশের পক্ষে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার শুরু হচ্ছে।

প্রতিবেদন বলছে, প্ল্যাকার্ড বহনকারী বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়েছিলেন। পার্টি ফর সোশ্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশনের লস অ্যাঞ্জেলেস শাখা সিটি হলের বাইরে বিকেলে সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এরই এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম বলেছেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের আদেশ প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন। এটিকে বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

নিউসাম ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সংকট তৈরি করার চেষ্টা এবং ক্যালিফোর্নিয়ার রাজ্যের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। এক্সে তিনি লিখেছেন, এগুলো একজন স্বৈরশাসকের কাজ, প্রেসিডেন্টের নয়।

হোয়াইট হাউস নিউসামের বিরোধিতা করে এক বিবৃতিতে বলেছে, সবাই বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা এবং আইনহীনতা দেখেছে।

ইউএস নর্দার্ন কমান্ড জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের ৩০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসের তিনটি এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল ফেডারেল কর্মী এবং সম্পত্তি রক্ষা।

রোববার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের হিংসাত্মক, বিদ্রোহী জনতা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর মন্ত্রিপরিষদ কর্মকর্তাদের দাঙ্গা বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন।

নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, যদি আমরা আমাদের দেশ এবং আমাদের নাগরিকদের জন্য বিপদ দেখি, তাহলে আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে এটি খুব, খুব শক্তিশালী হবে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসনবিরোধী কার্যক্রম আরও বেড়েছে। প্রতিদিন অন্তত ৩ হাজার অভিবাসী আটক করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযান বাস্তবে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাদেরও ভুক্তভোগী করছে, যা নিয়ে একাধিক আইনি চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।