
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৪-১৫টি বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট এবং সেসব বাড়ির মানুষদের মারধরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, বৈষম্যবিরোধী দেশ গড়ার লক্ষ্যে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর এমন ঘটনা লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়।
বিবৃতিতে উদীচীর নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগসহ বিগত প্রায় সব সরকারের সময়েই কক্সবাজারের রামু, যশোরের অভয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, সুনামগঞ্জের শাল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননার এমন অভিযোগ তুলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলার ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে। তবে, সেসব ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ ও প্রশাসনকে খুব বেশি তৎপর হতে দেখা যায়নি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সেই একই কৌশল অবলম্বন করে হিন্দু বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে।
উদীচীর নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যে সাম্যের দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশের আপামর জনসাধারণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ বিসর্জন দিতে পেছপা হয়নি, সেই স্বপ্নের দেশ গড়ার ক্ষেত্রে এধরনের ঘটনা বড় প্রতিবন্ধকতা। গঙ্গাচড়ায় যে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছে তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরও সেই ঘটনাকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালানো হয়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।
কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাকে অবশ্যই আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার সাথে যারা জড়িত, তাদের সবাইকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানান উদীচীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
টিএইচ